সর্বশেষ :
সিলেটে দলীয় সভায় নেতাদের বাকবিতন্ডা ও ‘কল-কাণ্ডে’র ঘটনায় বিএনপির দুই তদন্ত কমিটি নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করছে, কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শাকিবের নায়িকা হিসেবে সাবিলা নূরকে নিয়ে কে কী লিখছেন স্থায়ী কমিটির বৈঠক : ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে মাঠে থাকবে বিএনপি সরকারকে শেষ বার্তা দিলেন বিএনপি নেতা ইশরাক প্রেমিকা নিয়ে পুত্রের বিলাসী ভ্রমণ, বিতর্কের জেরে মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ পাকিস্তানে গুলি করে কিশোরী টিকটক তারকাকে হত্যা জামালগঞ্জে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে: খন্দকার মোশাররফ

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে: খন্দকার মোশাররফ

একুশে সিলেট ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা হলে সেটাই সবার জন্য সুবিধাজনক হবে। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন না আয়োজন করার যদি কোনো পাল্টা বা বিপরীত যুক্তি সরকারের থাকে সেটাও তারা প্রকাশ করুক। তিনি বলেছেন, সরকারে থাকা অনেকেই মনে করে যে, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কেবল বিএনপি নয়, দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সংসদ নির্বাচন চায়। নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে নির্বাচন কমিশনের সুবিধা, সরকারেও সুবিধা, জনগণেরও সুবিধা। সেটা আমরা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছি।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকেও এক সময় বিদায় নিতে হবে। আমরা মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পারবে। এর থেকে সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। এ থেকে বিলম্ব হলে এমন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়বেন যে কখন নির্বাচন হয়, তা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’

নির্বাচনে বিএনপির জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিই দেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল এবং সরকারে থাকা অনেকেই স্বীকার করেন যে, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।’

জাপান সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার যদি অন্য কোনো যুক্তি থাকে সরকার পরিষ্কার করুক, করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সেটা না করে বিদেশে গিয়ে “শুধুমাত্র বিএনপি (ডিসেম্বরে) নির্বাচন চায়”—এটা বলা সঠিক নয়।’

আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক ডেকেছেন। আমরা যাব। গেলেও আমরা কি বলব? আমরা তো আগেই সংস্কার কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি। আমরা মনে করি, মিনিমাম সব দল যেখানে একমত হবে, সেটাকে ঐকমত্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সংকট—আলোচনা, এটা কিন্তু নির্বাচনকে নিয়ে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত সম্মানী ব্যক্তি, যিনি দেশে-বিদেশে সুনাম করেছেন। এ দেশের জনগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি আমরা অনেক বিশ্বাস করে উনাকে এই পদে (প্রধান উপদেষ্টা) বসিয়েছি। কিন্তু তিনি জাপানে গিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন এতে আমরা হতাশ। উনি বলেছেন, একমাত্র নাকি বাংলাদেশে বিএনপি নির্বাচন চায়? আমি বলছি, কে নির্বাচন চায় না? নির্বাচন সবাই চায়।’

জুনে নির্বাচন সম্ভব নয়—মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, পতিত স্বৈরাচারেরা তত ষড়যন্ত্র করবে। আপনরা যে বলছেন জুনে নির্বাচন দেবেন। এর আগে কি হয়? ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি মাস, এরপরে ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা। রোজা ও ঈদ নিয়ে দুই মাস চলে ‍যায়, ফেব্রুয়ারি-মার্চ। তারপরে আসবে এপ্রিল-মে মাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। এগুলো পেছানোর সুযোগ নেই। এসব পাবলিক পরীক্ষায় যেসব স্কুল-কলেজে সেন্টার হয় সেগুলোতে কিন্তু ভোটের সেন্টার হয়। সরকার এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন করতেই পারবেন না। আর জুন মাসে পুরোপুরি বর্ষাকাল চলে আসে। জুন মাসে নির্বাচন সম্ভব না। তাই আমরা মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব এবং আমরা দাবি করেছি যে, আপনি ডিসেম্বরের মধ্যে যেদিন সুইটেবল মনে করেন, সে দিনটি আপনারা ঘোষণা করেন।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন। সংগঠনের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতারা বক্তৃতা করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff